দদিল্লী আগ্রা
পর্ব ১
হঠাৎ করে ঠিক একদিনের মধ্যে ঠিক হল আগ্রা যাব। এর আগে আমি আর রাজা আগ্রা গিয়েছি, তাজও দেখেছি, কিন্তু আগ্রা ফোর্ট বা ফতেহপুর সিক্রি দেখা হয় নি। সেই দেখা না হবার অবশ্য একটা কারণও ছিল! আসলে তখন আমরা দিল্লী গিয়েছিলাম সেই ফাঁকে আগ্রা দেখা। ঐভাবে আগ্রা দেখা হয় না, যেটা হয় সেটা একটা পিকনিক বলাই ভাল। প্রতিটি শিল্পের সৌন্দর্য্য উপভোগ করাটাও একটা বিশেষ বিষয় বটে।
যারা জানেন না তাদের জন্য বলি 1978 সালে খুব ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সেই সময় যমুনার জল ঢুকেছিল তাজমহলে। তাতে অবশ্য তাজের কোনও ক্ষতি হয়নি, তবে ক্ষতি হয়েছিল অনেক পর্যটকের যারা সেই সময় তাজ দেখবেন বলে মনস্থ করেছিলেন। তার মধ্যে আমার মা-বাবা অন্যতম।
এবারে তাই মা বাবাও আমাদের সঙ্গী।
যাবার দিন অর্থাৎ 9 তারিখ সকাল থেকে নিম্নচাপের দাপাদাপি। বাবা তাদের পরিচিত লোকের গাড়ী ঠিক করেছিল। সে গাড়ী করে আমরা ন'টা নাগাদ পৌঁছালাম শিয়ালদা। নেমেই বিরক্তিতে আমার মেজাজ গেল খিঁচরে কারণ কোনও বসার জায়গা নেই আর এদিকে ট্রেন লেট। লেট মানে ডাউন গাড়ী এলে সেই গাড়ীতে যাব, এবং সে ডাউনগড়ীই লেট। রাজা খুঁজে পেতে একটা জায়গা তো বার করলো, কিন্তু শুনলাম গাড়ী ছাড়বে রাত একটায়।ডাউন গাড়ী ঢুকলো সাড়ে তিনটেয় আর ছাড়লো 10 তারিখ ভোর সাড়ে চারটায়। আমরা কেউ আর কারও সাথে কথা না বলে বেডরোল নিয়ে পটাপট শুয়ে পরলাম। মাবাবার সিট পরেছিল অন্য কম্পার্টমেন্টে। গাড়ীতে ওঠার আগে অনেক জল্পনা করেও শেষ অবদি আর চেঞ্জ করা হয়নি। বাবুই ঘুম থেকে উঠে ওখানেই চলে গিয়েছিল। রাজা একবার এখানে একবার ওখানে দৌড়ে গেল।
ট্রেন লেট হতে হতে সাড়ে পনেরো ঘনটা হল। যেখানে আগ্রা পৌছানোর কথা 10তারিখ সন্ধ্যে সাতটায়, সেটা পৌছালো 11তারিখ সকাল 10টায়। স্টেশনের কাছাকাছি আসতেই তাজমহল আর আগ্রা ফোর্ট দেখে আমরা ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়লাম। অবশেষে নামলাম আগ্রা।
পর্ব ১
হঠাৎ করে ঠিক একদিনের মধ্যে ঠিক হল আগ্রা যাব। এর আগে আমি আর রাজা আগ্রা গিয়েছি, তাজও দেখেছি, কিন্তু আগ্রা ফোর্ট বা ফতেহপুর সিক্রি দেখা হয় নি। সেই দেখা না হবার অবশ্য একটা কারণও ছিল! আসলে তখন আমরা দিল্লী গিয়েছিলাম সেই ফাঁকে আগ্রা দেখা। ঐভাবে আগ্রা দেখা হয় না, যেটা হয় সেটা একটা পিকনিক বলাই ভাল। প্রতিটি শিল্পের সৌন্দর্য্য উপভোগ করাটাও একটা বিশেষ বিষয় বটে।
যারা জানেন না তাদের জন্য বলি 1978 সালে খুব ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সেই সময় যমুনার জল ঢুকেছিল তাজমহলে। তাতে অবশ্য তাজের কোনও ক্ষতি হয়নি, তবে ক্ষতি হয়েছিল অনেক পর্যটকের যারা সেই সময় তাজ দেখবেন বলে মনস্থ করেছিলেন। তার মধ্যে আমার মা-বাবা অন্যতম।
এবারে তাই মা বাবাও আমাদের সঙ্গী।
যাবার দিন অর্থাৎ 9 তারিখ সকাল থেকে নিম্নচাপের দাপাদাপি। বাবা তাদের পরিচিত লোকের গাড়ী ঠিক করেছিল। সে গাড়ী করে আমরা ন'টা নাগাদ পৌঁছালাম শিয়ালদা। নেমেই বিরক্তিতে আমার মেজাজ গেল খিঁচরে কারণ কোনও বসার জায়গা নেই আর এদিকে ট্রেন লেট। লেট মানে ডাউন গাড়ী এলে সেই গাড়ীতে যাব, এবং সে ডাউনগড়ীই লেট। রাজা খুঁজে পেতে একটা জায়গা তো বার করলো, কিন্তু শুনলাম গাড়ী ছাড়বে রাত একটায়।ডাউন গাড়ী ঢুকলো সাড়ে তিনটেয় আর ছাড়লো 10 তারিখ ভোর সাড়ে চারটায়। আমরা কেউ আর কারও সাথে কথা না বলে বেডরোল নিয়ে পটাপট শুয়ে পরলাম। মাবাবার সিট পরেছিল অন্য কম্পার্টমেন্টে। গাড়ীতে ওঠার আগে অনেক জল্পনা করেও শেষ অবদি আর চেঞ্জ করা হয়নি। বাবুই ঘুম থেকে উঠে ওখানেই চলে গিয়েছিল। রাজা একবার এখানে একবার ওখানে দৌড়ে গেল।
ট্রেন লেট হতে হতে সাড়ে পনেরো ঘনটা হল। যেখানে আগ্রা পৌছানোর কথা 10তারিখ সন্ধ্যে সাতটায়, সেটা পৌছালো 11তারিখ সকাল 10টায়। স্টেশনের কাছাকাছি আসতেই তাজমহল আর আগ্রা ফোর্ট দেখে আমরা ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়লাম। অবশেষে নামলাম আগ্রা।