সৌরভ একজন সুদর্শন ও উচ্চশিক্ষিত যুবক। কিন্তু চাকরির পরীক্ষায় সে কখনই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। যতবারই পরীক্ষা দিতে বসেছে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে, পারবো কি পারবো না, এই শঙ্কায় জানা জিনিসও সব ভুল করে এসেছে। তাই তার ভালো চাকরি করা আর হলো না। অবশেষে বাবার পরিচিত এক জুতোর দোকানের মালিকের কাছে জুতো বিক্রি করতে ঢুকে গেলো। তার কলেজের সহপাঠী এবং সহপাঠিনীরা জুতো কিনতে আসে তাকে দিয়ে জুতো পায় গলিয়ে চেষ্টা করে আর মুখ টিপে হাসে। সৌরভ ভয়ে কারো মুখের দিকে তাকাতে পারে পাছে তাকে নিয়ে মশকরা করা সে নিজের চোখে দেখে ফেলে। রোজ সে আসে ঘাড় গোঁজ করে কাজ করে।
এরমধ্যে একদিন মদনদা চেঁচিয়ে বল্ল, "এই সৌরভ 'লেডি ডায়না' টা পাঁচ নম্বরটা দিদিভাই কে দেখা তো" রোজকার মতো আজও সৌরভ মাথা নীচু করে জুতো পায়ে মাপমত আছে কিনা দেখে সঠিক মাপের জুতো কাউন্টারএ পাঠিয়ে দিল। মেয়েটি অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলো ফোনে। তাকিয়ে একবার দেখলোও না জুতোটা কেমন লাগছে। কিন্তু সৌরভ মেয়েটির পা দুটি দেখেছে। এমন সুন্দর পা বোধহয় সিন্ডারেলাই ছিলো। সাহস করে সে আর পা এর মালকিনের মুখের দিকে তাকাতে পারেনি।কারন সে তার যোগ্যতা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিল।
মেয়েটি দোকান থেকে বেরিয়ে যাবার পর হঠাৎই সৌরভ আবিষ্কার করলো যে মেয়েটি তার ছোট্ট পার্সটা ফেলে গেছে। সে পার্সটা খুলে দেখলো ভিতরে একটা কম্প্যাক্ট পাউডার আর একটা মনে হয় হিরের হাতের গহনা রয়েছে। সৌরভ কী করবে ভেবেই পেলনা। দোকানের মালিকটা ভিষন চামার ব্যাগ ওর কাছে জমা দিলে কিচ্ছু থাকবেনা। যদি মেয়েটি ফিরে আসে! সে ব্যাগটা নিয়ে নিজের ঝোলাতে রেখে দিলো।
এরপর বহুদিন হয়েগেছে। দিন ছেড়ে সপ্তাহ, সপ্তাহ ছেড়ে মাস, মাস ছেড়ে বছর হতে চল্ল।মেয়েটি আর আসেনি কিন্তু সৌরভ ওই ব্যাগ কাছ ছাড়া করে নি। পুজো এসে গেছে দোকানে প্রচুর ভীড়। হঠাৎই একটা পরিচিত কন্ঠস্বর শুনতে পেলো সৌরভ। চারিদিকে দেখার চেষ্টা করতে লাগলো। তার কোনো ভুল হয়নি এ সেই মেয়েটিরই গলা। কিন্তু কি করে চিনবে সে! মুখ তো দেখেনি। একটু পরেই হাঁক এলো, "সৌরভ দিদিভাই কে ব্যালেরিনা পাঁচ নম্বরট দেখা তো।" সৌরভ জুতোটা পায়ে ঢুকাতে গিয়ে দেখলো, হ্যা এই পা সে চেনে দশ মাস আগে এই পায়েই জুতো পরিয়ে ছিলো সে। সে চট করে মুখের দিকে তাকালো। খুব সুন্দরী একজন কমবয়সি মহিলা। মহিলা কে অবাক করে সৌরভ লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো, "ম্যাডাম আপনি দু মিনিট বসুন আমি এক্ষুনি আসছি" কথা শেষ হতে না হতেই সে এক ছুটে ভিতরে গিয়ে ঝোলা থেকে পার্সটা বার করে মহিলার সামনে এসে দাঁড়াল, এগিয়ে দিলো মহিলার দিকে। মহিলা উত্তেজনায় উঠে দাঁড়িয়েছেন ব্যাগ দেখে। ব্যাগ খুলে উনি দ্রুত দেখে নিলেন ওনার মহামুল্যবান গহনাটি। "তুমি এটা কোথায় পেলে!!" উনি বিস্ময়ে হতবাক
"আপনি গতবার এখানেই ফেলে গিয়েছিলেন।" সৌরভ কুন্ঠিত হয়ে বল্ল।সারা দোকানে তখন পিন পরলেও শোনা যাবে। এর মধ্যে মহিলার স্বামীও ঢুকেছেন দোকানে। মহিলা বললেন, "তুমি জানতে এর মধ্যে কি আছে"
"হ্যা ম্যাম"
মহিলা এবং ভদ্রলোক দুজনেই অবাক।
"তাহলে এটা এতদিন এইভাবে রেখে দিয়েছো কেন, বিক্রি কেন করনি"
সৌরভ দীপ্ত কন্ঠে বলে, "মা বলেন গহনা নারীর সন্মান তাকে বিক্রি করা যায়না" ওনারা স্বামী স্ত্রী মুখ চাওয়াচাওয়ি করলেন। এইসম্য মালিক কাউন্টার ছেড়ে উঠে এলো। হাত কচলাতে কচলাতে বল্ল, "ও খুব শিক্ষিত কিন্তু চাকরি পায়নি। খুব গরীব ওরা"
ভদ্রলোক পকেট থেকে মানিব্যাগ বার করতে করতে বললেন," সততার যে কোনও সারর্টিফিকেট হয়না, তাই ও চাকরি পায়নি" উনি একটা ভিসিটিং কার্ড এগিয়ে দিয়ে সৌরভ কে বল্লেন, "কাল অফিসে এসো"
এরমধ্যে একদিন মদনদা চেঁচিয়ে বল্ল, "এই সৌরভ 'লেডি ডায়না' টা পাঁচ নম্বরটা দিদিভাই কে দেখা তো" রোজকার মতো আজও সৌরভ মাথা নীচু করে জুতো পায়ে মাপমত আছে কিনা দেখে সঠিক মাপের জুতো কাউন্টারএ পাঠিয়ে দিল। মেয়েটি অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলো ফোনে। তাকিয়ে একবার দেখলোও না জুতোটা কেমন লাগছে। কিন্তু সৌরভ মেয়েটির পা দুটি দেখেছে। এমন সুন্দর পা বোধহয় সিন্ডারেলাই ছিলো। সাহস করে সে আর পা এর মালকিনের মুখের দিকে তাকাতে পারেনি।কারন সে তার যোগ্যতা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিল।
মেয়েটি দোকান থেকে বেরিয়ে যাবার পর হঠাৎই সৌরভ আবিষ্কার করলো যে মেয়েটি তার ছোট্ট পার্সটা ফেলে গেছে। সে পার্সটা খুলে দেখলো ভিতরে একটা কম্প্যাক্ট পাউডার আর একটা মনে হয় হিরের হাতের গহনা রয়েছে। সৌরভ কী করবে ভেবেই পেলনা। দোকানের মালিকটা ভিষন চামার ব্যাগ ওর কাছে জমা দিলে কিচ্ছু থাকবেনা। যদি মেয়েটি ফিরে আসে! সে ব্যাগটা নিয়ে নিজের ঝোলাতে রেখে দিলো।
এরপর বহুদিন হয়েগেছে। দিন ছেড়ে সপ্তাহ, সপ্তাহ ছেড়ে মাস, মাস ছেড়ে বছর হতে চল্ল।মেয়েটি আর আসেনি কিন্তু সৌরভ ওই ব্যাগ কাছ ছাড়া করে নি। পুজো এসে গেছে দোকানে প্রচুর ভীড়। হঠাৎই একটা পরিচিত কন্ঠস্বর শুনতে পেলো সৌরভ। চারিদিকে দেখার চেষ্টা করতে লাগলো। তার কোনো ভুল হয়নি এ সেই মেয়েটিরই গলা। কিন্তু কি করে চিনবে সে! মুখ তো দেখেনি। একটু পরেই হাঁক এলো, "সৌরভ দিদিভাই কে ব্যালেরিনা পাঁচ নম্বরট দেখা তো।" সৌরভ জুতোটা পায়ে ঢুকাতে গিয়ে দেখলো, হ্যা এই পা সে চেনে দশ মাস আগে এই পায়েই জুতো পরিয়ে ছিলো সে। সে চট করে মুখের দিকে তাকালো। খুব সুন্দরী একজন কমবয়সি মহিলা। মহিলা কে অবাক করে সৌরভ লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো, "ম্যাডাম আপনি দু মিনিট বসুন আমি এক্ষুনি আসছি" কথা শেষ হতে না হতেই সে এক ছুটে ভিতরে গিয়ে ঝোলা থেকে পার্সটা বার করে মহিলার সামনে এসে দাঁড়াল, এগিয়ে দিলো মহিলার দিকে। মহিলা উত্তেজনায় উঠে দাঁড়িয়েছেন ব্যাগ দেখে। ব্যাগ খুলে উনি দ্রুত দেখে নিলেন ওনার মহামুল্যবান গহনাটি। "তুমি এটা কোথায় পেলে!!" উনি বিস্ময়ে হতবাক
"আপনি গতবার এখানেই ফেলে গিয়েছিলেন।" সৌরভ কুন্ঠিত হয়ে বল্ল।সারা দোকানে তখন পিন পরলেও শোনা যাবে। এর মধ্যে মহিলার স্বামীও ঢুকেছেন দোকানে। মহিলা বললেন, "তুমি জানতে এর মধ্যে কি আছে"
"হ্যা ম্যাম"
মহিলা এবং ভদ্রলোক দুজনেই অবাক।
"তাহলে এটা এতদিন এইভাবে রেখে দিয়েছো কেন, বিক্রি কেন করনি"
সৌরভ দীপ্ত কন্ঠে বলে, "মা বলেন গহনা নারীর সন্মান তাকে বিক্রি করা যায়না" ওনারা স্বামী স্ত্রী মুখ চাওয়াচাওয়ি করলেন। এইসম্য মালিক কাউন্টার ছেড়ে উঠে এলো। হাত কচলাতে কচলাতে বল্ল, "ও খুব শিক্ষিত কিন্তু চাকরি পায়নি। খুব গরীব ওরা"
ভদ্রলোক পকেট থেকে মানিব্যাগ বার করতে করতে বললেন," সততার যে কোনও সারর্টিফিকেট হয়না, তাই ও চাকরি পায়নি" উনি একটা ভিসিটিং কার্ড এগিয়ে দিয়ে সৌরভ কে বল্লেন, "কাল অফিসে এসো"