দিল্লীর শাষনব্যবস্থার টলোমলোতার সুযোগে মারাঠারা 1752 সালে দিল্লীর ক্ষমতা কবজা করে সাথে সাথে ফতেহ্পুর সিক্রী ওদের দখলে চলে আসে। 1803 সালে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে দিললী আসতেই ফতেহপুর সিক্রীও ইংরেজদের অধিন হয়ে যায় আল তারাযথেচ্ছভাবে রাজমহল ও অন্যান্য বাসভবনগুলিকে ব্যবহার করে এবং ব্যারাক বানিয়ে নষ্ট করে ফেলে। কিন্তু লর্ড কার্জন যখন ক্ষমতা হাতে পান, নষ্ট হওয়া ইতিহাস পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হন। এখন যে টুকু আমরা দেখতে পাই তা লর্ড কার্জনেরই জন্য।
আর একটি স্থাপত্যের ইতিহাস জেনে আমার খুব খারাপ লেগেছিল। সেটি হল সম্রাট আকবরের সমাধি। আমি আগের বার গিয়েছিলাম, এবার যাবার সময় হয়নি। আকবরের সমাধি দেখে মনে হয়েছিল এতবড় একজন সম্রাটের সমাধি এত সাধারন সাজসজ্জা কি করে হয়!!.......আকবরের সমাধি তৈরী হতে সময় লেগেছিল 1605 - 1613 সাল। আকবর তার জীবদ্দশায় স্থান ঠিক করে গিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর জাহাঙ্গীর তৈরী করেন। তিনি দামি পাথর হিরে জহরত দিয়ে অপূর্ব করে এর সাজসজ্জা করেন। মাটিতে পাতেন দামী পার্শিয়ান কার্পেট। এক কথায় অসাধারন ছিল সে সমাধি মন্দির।
আকবরের প্রপৌত্র ঔরঙ্গজেবের সময় জাঠদের উত্থান হয় রাজা রাম জাঠের নেতৃত্বে।পরবর্তিকালে জাঠরা আগ্রা ফোর্ট জয় করে নেয় মোগলদের হারিয়ে। সেই সময় তারা আকবরের সমাধি থেকে সোনা দামী হিরে জহরত সব খুবলে তুলে লুঠ করে। এবং সব থেকে অমানবিক কাজ যা তারা করেছিল তি হল , রাম জাঠের বাবা গোকুলের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আকবরেল সমাধি থেকে আকবরের কঙ্কাল তুলে পুড়িয়ে দেয়।...... তাই আকবরের যে সমাধি আমরা দেখি সেখানে আকবরের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
পরের পর্বে দিল্লীর লালকেল্লা সম্বন্ধে জানাবো।
আকবরের প্রপৌত্র ঔরঙ্গজেবের সময় জাঠদের উত্থান হয় রাজা রাম জাঠের নেতৃত্বে।পরবর্তিকালে জাঠরা আগ্রা ফোর্ট জয় করে নেয় মোগলদের হারিয়ে। সেই সময় তারা আকবরের সমাধি থেকে সোনা দামী হিরে জহরত সব খুবলে তুলে লুঠ করে। এবং সব থেকে অমানবিক কাজ যা তারা করেছিল তি হল , রাম জাঠের বাবা গোকুলের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আকবরেল সমাধি থেকে আকবরের কঙ্কাল তুলে পুড়িয়ে দেয়।...... তাই আকবরের যে সমাধি আমরা দেখি সেখানে আকবরের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
পরের পর্বে দিল্লীর লালকেল্লা সম্বন্ধে জানাবো।
No comments:
Post a Comment