তমাল বিদেশে গেছে আজ নয় বছর হয়ে গেছে। বিদেশে যাবার পর ও আর কারও সাথে যোগাযোগ রাখেনি মাটিও চেষ্টা করেনি। সে এখন নামকরা সাইকলজিস্ট। একটি নামী বেসরকারি হসপিটালে কর্মরতা। চোখে উঠেছে হাল্কা পাওয়ারের চশমা। শোভা বিয়ে করে ঘোর সংসারী কিন্তু প্রতি রবিবার ফোন করে মাটির খবর নিতে তার কখনো ভুল হয়না। প্রবাল কলেজের একটি মেয়েকেই বিয়ে করেছিল। কিন্তু ওর মায়ের মানষিক
অত্যাচারে মেয়েটি এখন আধা মানষিক রোগী। চিকিৎসা চলছে মাটির কাছেই।
আজ একটু তাড়াতাড়ি বেরবে ঠিক করেছে মাটি। কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেই, তাছাড়া শরীরটাও ভালো লাগছে না। ঘড়িটা দেখে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে দরজা ঠেলে ঢুকলো একজন সুবেশ তরুন। চোখের রিমলেস চশমাটি ঠিক করতে করতে বললেন, ''সরি, অ্যাটেনডেন্ট আটকেছিলেন কিন্তু আমার দেখা করাটা জরুরী ছিল।" কথা বলার কায়দা দেখে বলে দিতে হয়না তরুনটি 'কে'। অ্যাটেনডেন্ট কাচুমাচু মুখে দরজা খুলে উঁকি মারলো, মাটি ইসারায় ওকে যেতে বলল। এবার তরুনটির দিকে তাকিয়ে বল্ল, "ইয়েস, হোয়াট ক্যান আই ডু ফর ইউ? অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া আমি পেসেন্ট দেখিনা, আপনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে আসুন"
"মাটি প্লিজ" চাপা গলায় ধমকে উঠলো তরুনটি।
"এখানে আমার নাম ধরে কেউ সম্বধন করে না"মাটি গম্ভির গলায় বল্ল।
" সবার আর আমার মধ্যে পার্থক্য আছে।আমি তোমাকে যেকোন জায়গায় যেকোন সময়ে এই সম্বোধন করতে পারি। কেউ আমায় বাধা দিতে পারবেনা" তরুনটি বলে।
"এতদিন বাদে নিজের অধিকার ফলাতে এসেছো, কে হে তুমি।" মাটির মন্তব্যের উত্তরে তরুনটি বলে," আমি সেই তমাল, যে তোমাকে সময়ের হাতে গচ্ছিত রেখে গিয়েছিলাম"
"বিদেশে কি বাংলা নিয়ে পরছিলে নাকি!" মাটি টেবিল গোছাতে গোছাতে বল্ল।
"নাহ তবে বিদেশে তোমাকে ছাড়া থাকতে থাকতে...."
মাটি মাঝখানে থামিয়ে দিয়ে বল্ল, "কি কাজে এসেছ বলো। আমার তাড়া আছে, বেড়বো"
বেশ কিছুক্ষন চুপ করে থেকে তমাল বল্ল," তুমি আমায় কথা দিয়েছিলে আমার মানষিকতা বদলালেও তোমার বদলাবেনা!"
"বদলায় নি তো!"
"আমিও বদলাই নি। এই কয় বছর আমি শুধু তোমার কথাই ভেবেছি, কবে ফিরবো তার দিন গুনেছি।" মাটি কিছু বলতে যাচ্ছিল। কিন্তু তমাল টেবিলের ওপর তার বাড়িয়ে রাখা হাতে হালকা চাপ দিয়ে বলল, "অনেক তো হলো একা চলা এবার তোমার এই হাতটা ধরে তোমার সাথে পা মিলিয়ে চলতে দাও" তমাল চুপ করলো মাটিও চুপ। কিছুক্ষন থেমে তমাল আবার বলল, "চলবে তুমি সারাটা জীবন একসাথে, একছাদের তলায়, একইবন্ধনে?" মাটি মুখে আর কিছু বলতে পারলোনা, শুধু বাষ্পসিক্ত গলায় বলল,"পারব"।
সমাপ্ত
অত্যাচারে মেয়েটি এখন আধা মানষিক রোগী। চিকিৎসা চলছে মাটির কাছেই।
আজ একটু তাড়াতাড়ি বেরবে ঠিক করেছে মাটি। কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেই, তাছাড়া শরীরটাও ভালো লাগছে না। ঘড়িটা দেখে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে দরজা ঠেলে ঢুকলো একজন সুবেশ তরুন। চোখের রিমলেস চশমাটি ঠিক করতে করতে বললেন, ''সরি, অ্যাটেনডেন্ট আটকেছিলেন কিন্তু আমার দেখা করাটা জরুরী ছিল।" কথা বলার কায়দা দেখে বলে দিতে হয়না তরুনটি 'কে'। অ্যাটেনডেন্ট কাচুমাচু মুখে দরজা খুলে উঁকি মারলো, মাটি ইসারায় ওকে যেতে বলল। এবার তরুনটির দিকে তাকিয়ে বল্ল, "ইয়েস, হোয়াট ক্যান আই ডু ফর ইউ? অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া আমি পেসেন্ট দেখিনা, আপনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে আসুন"
"মাটি প্লিজ" চাপা গলায় ধমকে উঠলো তরুনটি।
"এখানে আমার নাম ধরে কেউ সম্বধন করে না"মাটি গম্ভির গলায় বল্ল।
" সবার আর আমার মধ্যে পার্থক্য আছে।আমি তোমাকে যেকোন জায়গায় যেকোন সময়ে এই সম্বোধন করতে পারি। কেউ আমায় বাধা দিতে পারবেনা" তরুনটি বলে।
"এতদিন বাদে নিজের অধিকার ফলাতে এসেছো, কে হে তুমি।" মাটির মন্তব্যের উত্তরে তরুনটি বলে," আমি সেই তমাল, যে তোমাকে সময়ের হাতে গচ্ছিত রেখে গিয়েছিলাম"
"বিদেশে কি বাংলা নিয়ে পরছিলে নাকি!" মাটি টেবিল গোছাতে গোছাতে বল্ল।
"নাহ তবে বিদেশে তোমাকে ছাড়া থাকতে থাকতে...."
মাটি মাঝখানে থামিয়ে দিয়ে বল্ল, "কি কাজে এসেছ বলো। আমার তাড়া আছে, বেড়বো"
বেশ কিছুক্ষন চুপ করে থেকে তমাল বল্ল," তুমি আমায় কথা দিয়েছিলে আমার মানষিকতা বদলালেও তোমার বদলাবেনা!"
"বদলায় নি তো!"
"আমিও বদলাই নি। এই কয় বছর আমি শুধু তোমার কথাই ভেবেছি, কবে ফিরবো তার দিন গুনেছি।" মাটি কিছু বলতে যাচ্ছিল। কিন্তু তমাল টেবিলের ওপর তার বাড়িয়ে রাখা হাতে হালকা চাপ দিয়ে বলল, "অনেক তো হলো একা চলা এবার তোমার এই হাতটা ধরে তোমার সাথে পা মিলিয়ে চলতে দাও" তমাল চুপ করলো মাটিও চুপ। কিছুক্ষন থেমে তমাল আবার বলল, "চলবে তুমি সারাটা জীবন একসাথে, একছাদের তলায়, একইবন্ধনে?" মাটি মুখে আর কিছু বলতে পারলোনা, শুধু বাষ্পসিক্ত গলায় বলল,"পারব"।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment