পড়াশোনার চাপে মাটির খেয়াল থাকেনা কোনো দিকে নজর দেবার। কিন্তু মাঝে মাঝে চোখ চলে যায় তমালের দিকে।এক ইয়ার উঁচু তমালের সমস্ত কাজে মনোনিবেশ দেখে মাটি খুব আশ্চর্য হয়।এর মধ্যে একমাস হতে চলেছে। ফেসার্স ওয়েলকামএর দিন এসে গেল। নির্দিষ্ট দিনে মায়ের একটা নীল রঙের সিল্ক পড়লো মাটি। শোভার মা শাড়ি পড়েন না বলে মা শোভাকেও একটা শাড়ি বার করে দিলেন। বাবা দুজনকেই ট্যাক্সি করে কলেজে নামিয়ে দিয়ে অফিস চলে গেলো। কলেজের গেট দিয়ে ঢুকতেই মনটা ভিষণ ভালো হয়ে গেল। কি সুন্দর করে সাজিয়েছে চারিদিক। সিঁড়ি দিয়ে উঠতেই একজন দিদি হাতে একটা গোলাপ ফুল দিয়ে বলল, নাইস ব্যাংগেল। মাটি একটা সৌজন্যমুলক হাসি হেসে করিডোরের দিকে পা বাড়ালো।মা জোড় করে এই চুড়িটা পড়িয়ে দিলো, ঘুঙুর দেওয়া চুড়ি, সবাই তাকিয়ে দেখছে। ধুত বলে মাটি চুড়িটা খুলে ফেল্লো। শোভা আঁতকে উঠলো, খুলিস না!! কি সুন্দর। শোভাও পরাবে র মাটিও পরবেনা। এই টানাপোড়েনে চুড়ি হাত থেকে মেঝেতে পরে আরও দ্বিগুন আওয়াজ করে গড়াতে গড়াতে চল্ল। কথায় বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয় আর বাঘ করিডরের শেষে দাঁড়িয়ে, চুড়ি বাঘের হাতে। ঠিক এই সময় পিছন থেকে শোভাকে কেউ ডাকলো, শোভা সেদিকে এগিয়ে গেল। তমাল চুড়ি হাতে এগিয়ে এল। মাটির হাতে চুড়ি দিয়ে বল্ল, চুড়ির সৌন্দর্য হাতে, হ্যান্ডব্যাগে নয়। তমাল চলে গেছে। শোভা ফিরে এল। মাটি চুড়ি হাতে গলিয়ে অডিটোরিয়াম এর দিকে এগিয়ে গেল। অডিটোরিয়ামে ঢুকে ওরা একটু অবাকই হল। কারন ওরা ছাড়া কেউ শাড়ি পরেনি। যাইহোক প্রথমে গান হলো, তারপর হলো আবৃত্তি। মাটিকে অবাক করে আবৃত্তি করলো তমাল।আবৃত্তি শেষে শোভা হাততালি দিতে দিতে বল্ল, ছেলেটা গুন আছে ফালতু ছেলে নয়, বল? মাটি বিরক্ত হয়ে বল্ল আবৃত্তি করলেই কেউ গুনবান হয়ে যায়না। এরপর হলো শাপমোচন নৃত্যনাট্য। অসাধারন করল সেকেন্ড ইয়ারের দিদিরা। থার্ড ইয়ারের দিদিরা সবার হাতে খাবার প্যাকেট দিয়ে গেল। সবাই মিলে হইহই করে বেরিয়ে এল। নানা কথা বলতে বলতে কোলাপ্সিবল গেটের দিকে এগোচ্ছিল সবাই। মাটির চোখ গেলো ওয়েস্টপেপার বাস্কেটের দিকে। সেখানে একটা হলুদ কাগজ। এটা সেই কাগজ যেটার মধ্যে তমাল কবিতাটা লিখে রেখেছিল। সকলের দৃষ্টির অগোচরে ও কাগজটা তুলে ব্যাগে রেখেদিল।
পরেরদিন শোভা কলেজ যায়নি। মাটির একটা বই থেকে কিছু নোট নেবার ছিল। এই সুযোগে সেটা হয়ে যাবে। লাইব্রেরীতে ঢুকে দরকারি বই টা নিয়ে লিখতে সুরু করল। কয়েকটা টেবিল পরে তমাল বসেছিল। সেও কিছু নোট নিচ্ছিলো। একটু পরে লাইব্রেরি ম্যাম'এর কাছে গিয়ে কি বলাতে ম্যাম মাটি ক দেখিয়ে দিলেন। তমাল আবার নিজের জায়গায় বসলো। মাটি বুঝলো এই বইটাই ওরও লাগবে। মাটির লেখা হয়ে গিয়েছিল। বইটা তমালের সামনে রেখে সে বেরিয়ে গেল। তমাল দেখলো বই'এর ফাঁক দিয়ে হলুদ রঙের কাগজ উঁকি মারছে। খুলে দেখে তারই কবিতা লেখা কাগজট, তার সাথে আরও একটি ছোট্ট চিরকুট, তাতে লেখা কবিতার স্থান কবির কল্পনায়, কবির হাতে। চিরকুট টা দেখে তমাল নিজের অজান্তেই হাসলো।
পরেরদিন শোভা কলেজ যায়নি। মাটির একটা বই থেকে কিছু নোট নেবার ছিল। এই সুযোগে সেটা হয়ে যাবে। লাইব্রেরীতে ঢুকে দরকারি বই টা নিয়ে লিখতে সুরু করল। কয়েকটা টেবিল পরে তমাল বসেছিল। সেও কিছু নোট নিচ্ছিলো। একটু পরে লাইব্রেরি ম্যাম'এর কাছে গিয়ে কি বলাতে ম্যাম মাটি ক দেখিয়ে দিলেন। তমাল আবার নিজের জায়গায় বসলো। মাটি বুঝলো এই বইটাই ওরও লাগবে। মাটির লেখা হয়ে গিয়েছিল। বইটা তমালের সামনে রেখে সে বেরিয়ে গেল। তমাল দেখলো বই'এর ফাঁক দিয়ে হলুদ রঙের কাগজ উঁকি মারছে। খুলে দেখে তারই কবিতা লেখা কাগজট, তার সাথে আরও একটি ছোট্ট চিরকুট, তাতে লেখা কবিতার স্থান কবির কল্পনায়, কবির হাতে। চিরকুট টা দেখে তমাল নিজের অজান্তেই হাসলো।
No comments:
Post a Comment